করোনা উপসর্গে মৃত্যু, ৬ বাড়ি লকডাউন

বরিশালবরিশাল সদর উপজেলার একটি বাড়ি এবং উজিরপুর উপজেলার ৫টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে উজিরপুরে অসুস্থ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত সোমবার বিকেলে করোনা সন্দেহে শের-ই বাংলা মেডিক্যালে ভর্তির পরপরই সদর উপজেলার তালতলীর ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। এর পরপরই সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় ওই বাড়িটি লকডাউন করে জেলা প্রশাসন।

উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রনতি বিশ্বাস বলেন, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের  রাখালতলা কালীরবাজার এলাকার বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী ফল ব্যবসায়ী দুই দিন জ্বর ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে বরিশাল নগরী থেকে বাড়ি ফিরে আসেন।

গত রবিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। খবর পেয়ে সোমবার রাতে ইউএনও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী ওই ব্যক্তির বাড়ি যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওই ব্যক্তির জ্বর সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার উপসর্গের বর্ণনা শুনে প্রাথমিকভাবে তাকে করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেন। এসব উপসর্গের কারনে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই বাড়িসহ আশপাশের ৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী জানান, মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই বাড়িসহ ৫টি বাড়ির সকল সদস্যকে নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।

ইউএনও বলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ওই ব্যক্তির বাড়িসহ ৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।