স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সী ওই প্রবাসী গত ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন। এরপর নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় ১৪ দিন শ্বশুরবাড়ি জেঠাগ্রামে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে তার শারীরিক কোনও সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে গত ৪ এপ্রিল তিনি কিছুটা অসুস্থতা বোধ করলে তার শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হয়। এতে টাইফয়েডের আলামত পাওয়া যায় বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান। পরে মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় জানান, করোনার উপসর্গ (জ্বর,কাশি-শ্বাসকষ্ট) নিয়ে তিনি মারা গেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ওই প্রবাসীর নিজের বাড়ি বুড়িশ্বর ইউনিয়নের মুকবুলপুর ও শ্বশুরবাড়ি গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রাম ১৪ দিনের জন্য লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোর রাতে মকবুলপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে করোনা-ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় আইইডিসিআরের নিয়ম মেনেই মরদেহটি দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন- নাসিরনগরে করোনার উপসর্গ নিয়ে বিদেশ ফেরত ব্যক্তির মৃত্যু