জ্বর ও কাশি নিয়ে আইসোলেশনে আরও ২ জন

rajshahi

জ্বর-সর্দি ও কাশি নিয়ে রাজশাহীর সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা চার জন রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন বলে জানা গেছে। তবে নতুন করে আরও দুজনকে আইসোলেশনকে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনার চিকিৎসার জন্য গঠিত কমিটির নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বুধবার (৮ এপ্রিল) এই তথ্য জানানো হয়।

কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, 'আইডি হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা চার রোগীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রামেকের ল্যাবে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।'

ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, নতুন করে আরও তিনজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনকে আইসোলেশন ও একজনকে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এদের একজনের বাড়ি রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি এলাকায়। আরেকজনের বাড়ি নওদাপাড়া এলাকায়। এই দুজনের মধ্যে একজন ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। ছয় দিনের জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজশাহী এসে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন তিন রোগীর করোনার পরীক্ষা করা হবে।

ডা. আজিজুল হক আরও জানান, রামেক হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে মাত্র একজন রোগী ভর্তি আছেন। এক্স-রে রিপোর্ট দেখে তাকে ছুটি দেওয়া হবে। রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোনও রোগী শনাক্ত হননি। তবে করোনা রোগী পাওয়া গেলেও চিকিৎসা যেন নিশ্চিত হয় তার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনা পরিস্থিতিতেও রামেক হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১০ জন। ভর্তি হয়েছেন ৬৫৬ জন।

রামেক অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানান, তাদের ল্যাবে বুধবার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে নওগাঁ থেকে ২৭, বগুড়া থেকে ১৩, রাজশাহীর ৯ জন, জয়পুরহাটের ৯ জন, নাটোর থেকে ৯ জন এবং সিরাজগঞ্জের ৩ জনের নমুনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, '১ এপ্রিল ল্যাব চালুর পর মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে এখনও রাজশাহী বিভাগের কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।'

বুধবার সকালে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, সর্বশেষ গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতফেরত পাঁচ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়। রাজশাহী জেলা ও মহানগরে গত ১ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৫২ জন।