করোনা শনাক্তের ল্যাব হচ্ছে বগুড়ায়, প্রতিদিন পরীক্ষা হবে ৩০-৪০টি নমুনা

Bogura-08-04-20-Picture-02

 

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে খুব শিগগিরই করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাব চালু হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ল্যাবটি চালু করতে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দুয়েকদিনের মধ্যেই মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম এসে পৌঁছাবে। এরপর প্রতিদিন ৩০-৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। শজিমেক অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মধ্যে দুই বিভাগীয় শহর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের নমুনা পরীক্ষার সুযোগ নেই। সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট হলে জনগণ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে যান। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় তারা সেখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে বিশেষ ব্যবস্থায় রাজশাহীতে পাঠানো হচ্ছে। পজেটিভ রিপোর্ট এলেও অধিকতর নিশ্চিত হতে এই নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। রাজশাহী ল্যাব থেকে রিপোর্ট আসতেও বেশি সময় লাগছে।

এ ব্যাপারে বগুড়া শজিমেক অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বগুড়া স্বাস্থ্য বিভাগ করোনাভাইরাস পরীক্ষায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। গণপূর্ণ বিভাগ হাসপাতালের একটি কক্ষে ল্যাব স্থাপনের অবকাঠামোগত কাজ শুরু করেছে।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজার রহমান তুহিন জানান, শজিমেক হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর ল্যাব স্থাপন হচ্ছে। এতে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হওয়া রোগীদের নমুনার রিপোর্ট দ্রুত পাওয়া যাবে। তাহলে বগুড়াসহ আশপাশের অনেক জেলার মানুষ উপকৃত হবেন।