ফেনী নদীর নোম্যানস ল্যান্ডে কে এই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী

feni-nodi

মানসিক ভারসাম্যহীন একজন নারীকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ)। তবে তা রুখে দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি)। ফলে গত সাত দিন ধরে ফেনী নদীর মাঝখানের নোম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করছেন তিনি। এনিয়ে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক হলেও কোনও সমাধান আসেনি। এদিকে বৃষ্টি হলে বা পানির ঢল নামলে ওই নারী ভেসে যেতে পারেন বলেও আশঙ্কা স্থানীয়দের।

রামগড় বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ২ এপ্রিল। খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় সীমান্তে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম মহকুমাধীন এলাকা থেকে ও সেই দেশের জনসাধারণ কর্তৃক এক ভারতীয় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ফেনী নদী অতিক্রম করিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইনের চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে বিজিবি বাধা দেয়। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে বিপাকে পড়েন ওই নারী। এরপর গত সাত দিন ধরে ফেনী নদীর মাঝখানের শুকনো স্থানে তথা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করছেন তিনি। তাকে নিয়মিত খাবার দিয়ে সহায়তা করছে সীমান্তবর্তী উপজেলা রামগড়ের কয়েকজন যুবক।

সীমান্তবাসীরা বলছেন, ভারতের বিএসএফ ও ভারতীয় কিছু লোক ওই নারীকে পিটিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্ঠা করেছে।

রামগড় সীমান্তে বসবাসরত আরেক এলাকাবাসী আব্দুল মান্নান বলেন, 'বিএসএফ ও ভারতীয় কিছু লোক মিলে ভারসাম্যহীন নারীকে পিটিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তিনি বারবার ভারতীয় অংশে যেতে চান। বাংলাদেশের বিজিবির বাধায় তিনি বাংলাদেশ অংশেও আসতে পারেনি।'

রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারবারী বলেন, 'বর্তমানে সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী নিজ মুখে একবার বলেছেন- তার বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম থানার দোলবাড়ি এলাকায়, আরেকবার বলেছেন- হরিণা এলাকায়। তার কথাবার্তা, পোশাক-পরিচ্ছদ ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে।

৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, রামগড় জোন এর অধিনায়ক লে কর্নেল মো. তারিকুল হাকিম বলেন, 'উক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর বিষয়টি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু নারীটি কোনও নাম-ঠিকানা বলতে পারেননি। তাই ভারত ফেরত নেয়নি। বাংলাদেশেরও কেউ তাকে শনাক্ত করেনি। এই বিষয়ে বিজিবির পক্ষ হতে সার্বক্ষণিক বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।