সোনাতলা থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী ও স্থানীয়রা জানান, মিঠু মিয়া সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের দড়ি হাঁসরাজ গ্রামের মৃত অফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি।
বৃহস্পতিবার বিকালে গোপনে খবর পেয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫০ বস্তা চাল উদ্ধার ও মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিঠু জানায়, তিনি চালগুলো কার্ডধারীদের কাছ থেকে কিনেছেন।
এদিকে চালসহ মিঠু গ্রেফতারের পর পুরো সোনাতলা উপজেলায় হইচই শুরু হয়। নির্বাচনি পোস্টারে তার দলীয় পদ লেখা থাকলেও তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে প্রমাণের চেষ্টা চলে। সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন জানান, মিঠু আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার এক ভাই যুবলীগ কর্মী ও অপর ভাই কাইয়ুম সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি কর্মী।
তিনি আরও জানান, স্বার্থান্বেষী মহল প্রচার করছে যে, মিঠু মধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক অসীম কুমার জৈন নতুনের পিএস। আসলে চেয়ারম্যানের পিএসের নাম রোস্তম।
শুক্রবার সকালে সোনাতলা প্রেসক্লাবে মধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার জৈন নতুন এবং উপজেলা কৃষক লীগ যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে দাবি করা হয়, মিঠু মন্ডল তাদের সংগঠনের কেউ নন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু, জেলা কৃষকলীগের নেতা মোঃ মাফুজার রহমান মাফু, সোনাতলা উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু লায়েছ নাহিদ, মধুপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহবায়ক সুরুজ মাষ্টার, যুগ্ম আহবায়ক শাহিন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।