খুলনায় খাবারের জন্য বিক্ষোভ

93226531_254201032648095_186954922757980160_n

করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্যের দাবিতে খুলনার রূপসা উপজেলায় বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে সড়কে নেমে আসেন উপজেলার পূর্ব রূপসা বাজার পার্শ্ববর্তী আদর্শগলির নারী-পুরুষরা। এসময় তারা বাজার থেকে মিছিল নিয়ে পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেন। পরে তারা খুলনা-মোংলা মহাসড়কে সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি পেয়ে তাদের কাছে খাবারের জন্য দাবি তুলে ধরেন।

তাদের দাবি, এলাকার প্রতিটা মানুষ ঘরে থাকলেও তাদের কাছে এখনও কোনও ত্রাণ বা খাদ্য আসেনি। মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে বলেও লাভ হচ্ছে না। এলাকার নেতারাও খোঁজ নিচ্ছেন না। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

তারা আরও জানান, মাছ কোম্পানিগুলোর মালিক বেতন দিচ্ছেন না। তারাও ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কাজও নেই তাই। অথচ টিভিতে দেখেছেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব মানুষকে সহায়তা পাঠিয়েছেন। সরকার ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছিলো, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

নৈহাটী ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বুলবুল সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে বলেন, 'কর্মহীনদের জন্য যে বরাদ্ধ পাচ্ছি, তা দিয়ে কিছুই হচ্ছে না। এলাকায় ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার কাছে বিতরণের জন্য অল্প কিছু চাল আছে, দেখি তা দিয়ে কতদূর কী করতে পারি।'

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার বলেন, 'রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নে ৪-৫ হাজার মাছ কোম্পানির শ্রমিক রয়েছেন। একটা কোম্পানি ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের এখনও বেতন দেয়নি। আমি মালিক পক্ষের সঙ্গে বেশ আগে থেকে কথা বলেছি। ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাথেও কথা বলেছি, যাতে শ্রমিকদের বেতন সময়মতো দেওয়া হয়।'

তিনি আরও জানান, রূপসা একটি বিশাল জনবসতি এলাকা। এখানে সরকারি সহযোগিতার চাল এসেছে ৬১ টন, যা মাত্র ৭ হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু পূর্ব রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নেই নিম্ন আয়ের শ্রমিক রয়েছেই ৫-৬ হাজার।