সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন জানান, ‘বুধবার বিকালে বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে এলো। শিলাবৃষ্টি শুরু হলো। আকাশে বিকট শব্দ করে শুরু হলো ভয়ঙ্কর ঝড়। মুহূর্তের মধ্যে বাড়ির পাশের কয়েকটি বড় বড় গাছ উপড়ে পড়লো। সেই সঙ্গে আমার মুরগির ফার্মের চাল ঝড়ের ভেঙে পড়লো। চার দিকে শুরু হলো মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আর চিৎকার।’
স্থানীয় মেম্বার মো. মোস্তফা বলেণ, ‘সৈয়দপুরে আমার একটি দোকান আছে। আসরের নামাজের পর দোকানটি খুললাম। দেখলাম আকাশ ঘন কালো অন্ধকার হয়ে আসছে। শুরু হলো শিলাবৃষ্টি। আমি দোকানের শাটার নামাতে গেলাম। দুই-তিনটি শব্দ করে হঠাৎ খুব জোরে শোঁ শোঁ আওয়াজ শুরু হল। শাটার নামানোর সময়ও পেলাম না। এরমধ্যেই চারদিকে ঘর,বাড়ি,গাছ-পালা ভাঙা শুরু হলো। ঘরের চাল ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে গাছের আগায় ঘুরছে। সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ছে। দোকানের পাশের একটি টিউবওয়েল ছিল, সেটির ওপরের অংশ উপড়ে পড়েছে ঝড়ের তীব্রতায়।’
তিনি আরও জানান, ঝড়ে জমির পাকা ধান ও বিভিন্ন ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সৈয়দপুরসহ চার-পাঁচটি গ্রামের কৃষকরা।
কালীরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেকান্দর আলী জানান, ‘আমার একটি ঘরের চাল উপড়ে পড়েছে। আমার ইউনিয়নের সৈয়দপুরের অনেক মানুষ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ও ফসল নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে পাশ্ব^বর্তী উপজেলা বুড়িচংয়ের কয়েকটি গ্রামেও ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে। তারাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।’