পাঁচ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড চার গ্রাম

কুমিল্লায় ঝড়ঝড়ের স্থায়ীত্ব ছিল পাঁচ থেকে সাত মিনিট। তাতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেঅ কুমিল্লার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। কয়েক মিনিটের ঝড়ে সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নের সৈয়দপুর এবং বুড়িচং এর ডুবইচর, চানগাছা ও কালাকচুয়া গ্রামে উপড়ে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, টিনশেড ঘরের চাল, ভেঙে পড়েছে কাঁচা ও আধাপাকা ঘর-বাড়ি। নষ্ট হয়েছে মাঠে থাকা ধানসহ কৃষকের বিভিন্ন ফসল। বুধবার (২২ এপ্রিল) পৌনে ৫টায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের শিকার হয় চার গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন কালিরবাজারের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দারা।কুমিল্লায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি

সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন জানান, ‘বুধবার বিকালে বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে এলো। শিলাবৃষ্টি শুরু হলো। আকাশে বিকট শব্দ করে শুরু হলো ভয়ঙ্কর ঝড়। মুহূর্তের মধ্যে বাড়ির পাশের কয়েকটি বড় বড় গাছ উপড়ে পড়লো। সেই সঙ্গে আমার মুরগির ফার্মের চাল ঝড়ের ভেঙে পড়লো। চার দিকে শুরু হলো মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আর চিৎকার।’কুমিল্লায় ঝড়

স্থানীয় মেম্বার মো. মোস্তফা বলেণ, ‘সৈয়দপুরে আমার একটি দোকান আছে। আসরের নামাজের পর দোকানটি খুললাম। দেখলাম আকাশ ঘন কালো অন্ধকার হয়ে আসছে। শুরু হলো শিলাবৃষ্টি। আমি দোকানের শাটার নামাতে গেলাম। দুই-তিনটি শব্দ করে হঠাৎ খুব জোরে শোঁ শোঁ আওয়াজ শুরু হল। শাটার নামানোর সময়ও পেলাম না। এরমধ্যেই চারদিকে ঘর,বাড়ি,গাছ-পালা ভাঙা শুরু হলো। ঘরের চাল ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে গাছের আগায় ঘুরছে। সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ছে। দোকানের পাশের একটি টিউবওয়েল ছিল, সেটির ওপরের অংশ উপড়ে পড়েছে ঝড়ের তীব্রতায়।’কুমিল্লায় ঝড়

তিনি আরও জানান, ঝড়ে জমির পাকা ধান ও বিভিন্ন ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সৈয়দপুরসহ চার-পাঁচটি গ্রামের কৃষকরা।কুমিল্লায় ঝড়

কালীরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেকান্দর আলী জানান, ‘আমার একটি ঘরের চাল উপড়ে পড়েছে। আমার ইউনিয়নের সৈয়দপুরের অনেক মানুষ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ও ফসল নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে পাশ্ব^বর্তী উপজেলা বুড়িচংয়ের কয়েকটি গ্রামেও ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে। তারাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।’