মিলন জানান, তার বাবাও মুচির কাজ করতেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মিঠাপুকুর উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে তিনিও জুতা-স্যান্ডেল সেলাই করে আসছেন। এই কাজে যা আয় হয়, তা দিয়েই পরিবার নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। মিলনের বাবা মারা গেছেন, মা রজনী, স্ত্রী দীপ্তি রবিদাস, মেয়ে মনিষা ও ছেলে দিগন্তকে নিয়েই তার সংসার। ছেলে স্থানীয় স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আর মেয়েটা পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে।
মিলন বলেন, নিজের কোনও জমি না থাকায় উপজেলা সদর থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে আব্দুল্লাপুর গ্রামে অন্যের জমিতে ঘর করে বসবাস করছি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অল্প-অল্প করে জমিয়ে ২০ হাজার টাকা হয়েছে। ইচ্ছে ছিল এক-দেড় শতক জমি কিনে বাড়ি করবো। কিন্তু ভয়াবহ করোনায় মানুষের জীবন বদলে গেছে। এই রোগ গরিব-ধনী ভেদ করে না, কখন কে আক্রান্ত হচ্ছে বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে কর্মহীন হয়ে লাখো পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেক ভেবে নিজের জমানো টাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছি।
সোমবার বিকালে মিলন রবিদাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে পুরো ২০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মামুন ভুইয়া বলেন, মিলন রবিদাসের দেওয়া ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছি।। দ্রুত এই টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করা হবে। তিনি মিলন রবিদাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার এ পদক্ষেপ অনেকের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।