প্রত্যক্ষদর্শী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সিংহশ্রী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেকান্দার আলী ঘটনার সময় লকডাউন উপেক্ষা করে ইফতার বেচাকেনার আয়োজনে বাধা দেন। এসময় তিনি দোকান খোলা রাখায় হোটেলে বানানো ইফতারসামগ্রী ফেলে দেন। তিনি হোটেলের কয়েকটি গ্লাস ও আসবাবপত্রও লাঠি দিয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, লাঠির আঘাতে দোকান মালিক আকতার হোসেন, ক্রেতা নূরুল হক, আফাজ উদ্দিন ও মোবারক হোসেন আহত হন। তারা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসময় বাজারে উপস্থিত লোকজন ওই এএসআই সেকান্দার আলী ও তার সঙ্গে থাকা হাবিলদার কায়েসকে ধাওয়া দেন। পরে পুলিশ ক্যাম্প থেকে অন্য সদস্যরাও এসে এতে যোগ দেন। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, গত ৩০ এপ্রিল ওই এএসআই সেকান্দর আলী পাশের বাগেরহাট এলাকার সুলতান উদ্দিনের আখের মিলে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় আখ জাল দেওয়ার চুলা ভেঙে ফেলেন। এসময় বাধা দিতে গেলে পুলিশ সদস্যদের লাঠির আঘাতে মোজাম্মেল ও মানিক নামে দু’জন আহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একজন এএসআই ও দুই জন কনস্টেবল আহত হন। তাদের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ যেটা করে, এটা সবসময়ই ভুল করে। আপনি যা পারেন লিখে দেন। যখন বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে বসে, তখন তো কিছু লিখতে পারেন না। ওই এএসআই লাঠি দিয়ে শুধু একটি গ্লাস ভেঙেছে। দোকানের কোনও আসবাবপত্র ভাঙে নাই।