তিনি জানান, পৌরসভার রাউতপাড়া এলাকায় শুক্রবার (৮ মে) রাতে ভাগ্নের বাসায় এক ব্যবসায়ীর (৪৫) মৃত্যু হয়। ওই ব্যবসায়ী উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
ডা. সুবীর আরও জানান, ওই ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার গাগলাজুরে বাড়ি থেকে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে তাকে দেখার পর করোনা রোগী সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে বাসা বা বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেন। পরে তিনি পৌরসভার রাউতপাড়া এলাকায় ভাগ্নের বাসায় যান। সেখানেই শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে শনিবার স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডা. সুবীর, পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক শ্যামল চৌধুরী রাউতপাড়ার বাসায় গিয়ে ওই ব্যবসায়ীর শেষ কৃত্যানুষ্ঠানের নিয়মকানুন বলে আসেন। এ সময় ভাগ্নের পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মৃতের সন্তানদের বরাত দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, ওই মুক্তিযোদ্ধা বেশ কিছুদিন পূর্বে নারায়ণগঞ্জে তার সন্তানদের কাছে বেড়াতে যান। সেখানে বেশ কদিন ধরেই তিনি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে শুক্রবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে শনিবার আটপাড়া উপজেলায় দুওজ ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধার লাশ নিয়ে আসা হয়।
পরে বাদ জোহর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী খায়রুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেনসহ বিভিন্ন স্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।