এ সময় শিবলী সাদিক বলেন, ‘আমি নিজেও ধান কাটার দৃশ্যের ছবি তুলতে পারতাম, কিন্তু আমি জানি ধান কাটতে গেলে ৫, ১০ বা ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধান কাটতে পারবো না। কৃষকের মতো স্টেমিনা আমাদের নেই। তাই আমি অনুরোধ করবো, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র বা চেয়ারম্যান-মেম্বার যেই হোন– আপনারা চাইলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধান কাটতে পারবেন না। পারলে কৃষকদের দু-একজন শ্রমিকের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করুন। এতে করে কৃষকরা অনেক বেশি উপকৃত হবেন বলে আমার মনে হয়।’
তিনি করোনা মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ইতোমধে্যই আমার নির্বাচনি এলাকার চারটি উপজেলাতেই করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আপনারা সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করুন। গত কয়েকদিন থেকে হাটবাজারগুলোতে আপনাদের যে অবাধ বিচরণ লক্ষ করা যাচ্ছে তা খুবই শঙ্কিত করছে। যা কোনও ভাবেই ঠিক হচ্ছে না। অনেক মানুষের মুখেই দেখছি মাস্ক নেই। তারা দোকান খুলছেন। অনেকেই পণ্য কিনতে যাচ্ছেন। যা মোটেই ঠিক হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এতো কিছুর পরেও আপনারা যদি সচেতন না হন তাহলে আমরা খুব ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হবো। এখন হয়তো চার উপজেলায় দুই-চারজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করছি। এটির সংখ্যা যদি দুই-তিনশ হয় সেটাও আমরা করতে পারবো। কিন্তু হাজারে হাজারে যদি আক্রান্ত হয় তাহলে তখন কিন্তু আর কোনও ভাবেই সামলাতে পারবো না। কারণ এতো পরিমাণ মানুষকে আইসোলেশনে নিয়ে এসে রাখার মতো জায়গা আমাদের নেই। আপনাদের যতই দেখছি, ততই আমার কষ্ট হচ্ছে। ততই আমি চিন্তিত হচ্ছি যে, এত পরিশ্রম, সবকিছু বৃথা হয়ে যাচ্ছে বোধহয়।’