চাল চুরির ঘটনায় ইউপি সদস্য বরখাস্ত

ঘটনাস্থলে ইউএনও গিয়ে ওএসএসের চাল গুদামজাত করার সময় হাতেনাতে ধরেন। ইনসেটে ইউপি সদস্য কুলসুম বেগমঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৮৮৯ বস্তা চাল চুরির ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। সোমবার (১৮ মে) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।

চাল চুরির ঘটনায় বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য কুলসুম বেগমসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুলসুম বেগমের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাৎ ও মজুত রাখার অভিযোগে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪ (১) অনুযায়ী পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য কুলসুম বেগমের কুসলডাঙ্গী বাজারের গুদামে চাল মজুত করার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে ইউএনওকে খবর দেন। ইউএনও পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি নসিমন থেকে ৬৮ বস্তা ওএসএসের চাল নামিয়ে গুদামজাত করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। একই ধরনের ৫৬২ বস্তা চাল ওই গুদামে পাওয়া যায়। এ সময় ইউএনও গুদাম সিলগালা করেন। এই গুদামে কুলসুমের স্বামী আমিরুল চালের ব্যবসা করেন। পরে সিলগালা করা গুদামগুলোতে অভিযান চালিয়ে আরও ২৫৯ বস্তা একই ধরনের চালের বস্তা আটক করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন ১০ এপ্রিল ৬ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ফুড অফিসার) নিখিল চন্দ্র বর্মণ। অভিযুক্তরা হলেন– পান্না কউসার, আমিরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য কুলসুম বেগম, সামিরুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, জামিরুল ইসলাম।