আম্পানের তাণ্ডবে নওগাঁয় আমের ক্ষতি শত কোটি টাকা

আম্পানের প্রভাবে ঝরে পড়া আমঘূর্ণিঝড় আম্পানে নওগাঁয় আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আম চাষিরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে গাছের প্রায় ৫০ শতাংশ আম ঝরে গেছে। নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২০ মে) রাত ১টার দিকে নওগাঁতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০-৮০ কিলোমিটার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নওগাঁ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। চার হাজার ৮০০ আম চাষির প্রায় সাত হাজার বাগান রয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৫ মেট্রিক টন। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন লাখ ২৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ৫০ শতাংশ, অর্থাৎ এক লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আম ঝরে পড়েছে।

ভরা মৌসুমে আমের দাম ৪০ টাকা কেজি ধরলে এর দাম প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে ৬০ ভাগেরও বেশি আম উৎপাদন হয় পোরশা, সাপাহার ও পত্নীতলা উপজেলায়।

সাপাহার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আম চাষি সাইফুর রহমান বলেন, ৪০ বিঘা জমির ওপর চারটি বাগান রয়েছে। ঝড়ে বাগানের তিন হাজার গাছের অর্ধেক আম পড়ে গেছে। ঝরে পড়া আম ২-৩ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হবে না। আম যেগুলো ফেটে গেছে, সেগুলো কেউ কিনবে না।

সাপাহার উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, সাপাহারে এবার আট হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এবার এমনিতেই বাগানগুলোতে আম কম ধরেছিল। তারপরও এই ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। তবে কিছু বাগান পরিদর্শন করে ধারণা হচ্ছে, আম গাছের প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আম পড়ে গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আম চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান নিরূপণে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।