করোনায় আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জের সেই কাউন্সিলর ও তার স্ত্রী

করোনায় মৃতদের লাশ দাফনে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন কাউন্সিলর খোরশেদকরোনার হটস্পট নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহ দাফন করে দেশে-বিদেশে বহুল আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। কাউন্সিলর খোরশেদ রবিবার নিজ ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ২২ মে খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার করোনা শনাক্ত হয়।

লাইভে এসে খোরশেদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমি করোনায় আক্রান্ত। আপনার সবাই দোয়া করবেন। আমি শারীরিকভাবে ঠিক আছি, সুস্থ আছি।

করোনার উপসর্গ নিয়ে বা করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে পরিবারের লোকজন যখন দাফন করতে এগিয়ে আসেনি, ঠিক সে সময় মৃতদেহ দাফনে কাজ করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। গত ৯ এপ্রিল থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত মোট ৬১ জন করেনায় আক্রান্ত বা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মৃতদেহের দাফন ও সৎকার করেন কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার টিমের সদস্যরা।

কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার স্ত্রীএর আগে গত ৯ মার্চ থেকে করেনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলাদেশের শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন থেকে ফর্মুলা সংগ্রহ করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া ক্লোরিনযুক্ত পানি বিভিন্ন বাড়িঘর রাস্তাঘাট ছিটিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। পরবর্তীতে তার দেখাদেখি সিটি করপোরেশনের অন্য কাউন্সিলরসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার থেকে ফর্মুলা নিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে বিতরণ করে। এছাড়া করোনার সময় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ থেকে শুরু করে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানের জন্য একটি ইউনিট গঠন করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। তার এই কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার তার টিমের সদস্যরা।