করোনা উপসর্গে মৃতের দাফন: পুলিশের ফোনেও আসেননি জনপ্রতিনিধি

101362394_277262609990474_6094793729598554112_n

করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর জেলায় এক দিনে চার জন মারা গেছেন। মৃতরা হচ্ছেন- হাজীগঞ্জ উপজেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমান (৮০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দি গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক (৭০) এবং একই গ্রামের গৃহবধূ লাকী বেগম (৩৪)। বুধবার (৩ মে) স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এদের মধ্যে মজিবুর রহমানের মরদেহ দাফনের জন্য পুলিশ ও দাফন কমিটির লোকরা উপস্থিত থাকলেও জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন

চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার পর তিনি মারা যান। আর লাকী বেগম বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আনুমানিক ৪০ মিনিট পর মারা যান। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

হাজীগঞ্জের বলিয়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন জানান, আমার বাবা কয়েকদিন দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানান রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় মারা যান। এলাকার কোনও লোকই আমাদের সহযোগিতা করেনি বরং সবাই পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফাজালের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি নিজেই এসে উপজেলা দাফন কাফন কমিটির সহযোগিতায় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় দাফন সম্পন্ন করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন জানান, 'হাজীগঞ্জের বলিয়ায় নিহত মজিবুর রহমানের মৃতদেহ রাতে বাড়িতে পড়ে থাকলেও এলাকার কোনও জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসেননি। ভোরে আমি নিজে গিয়ে তাদের ফোন করি। তবুও তারা আসেননি। পরবর্তীতে রিপোর্ট করার কথা বললে তারা এগিয়ে আসেন। তবে তারা কোনও সহযোগিতা করেননি। এমনকি এলাকাবাসি কবরটি পর্যন্ত করে দেয়নি। উপজেলা দাফন কমিটিই কবর খননের কাজ সম্পন্ন করে।'

এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মারা যাওয়া একই গ্রামের বাসিন্দা হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের (৬০) করোনা উপসর্গ ছিল। উপজেলা দাফন কমিটির সহযোগিতায় তার দাফন করা হয়। 

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসএম শোয়েব আহমেদ চিশতী বলেন, 'আমরা খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর আলমের নমুনা সংগ্রহ করেছি। আর মজিবুর রহমান মারা যাওয়ার আগেই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নমুনা দিয়েছেন।'