শনিবার (১৩ জুন) নেত্রকোনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ফখরুজ্জামান জুয়েলের কাছে রত্না আক্তারের অভিযোগের ৯ জন সাক্ষীর ৮ জন স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত আকারে তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ওসির স্বপক্ষের বিভিন্ন সাক্ষীদের সাক্ষ্যও গ্রহণ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা নেত্রকোনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে তাই তদন্তের স্বার্থে আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি হারুণ অর রশিদ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে রত্না আরও বলেন, ‘আমি চাই এমন শাস্তি হোক যাতে এমন ঘটনা আর কেউ করতে সাহস না পায়। থানায় ধরে নেওয়া হলো ৯ জনকে ৮ জনকে কিছুই করেনি, কিন্তু আমার স্বামীকে কেন মারধর করলো? কারণ একটাই, আমার স্বামী এই ওসি স্যারের বিরুদ্ধে আইজিপি স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিল। তাই পূর্বের ঘটনার জের ধরে তিনি মারধর করেছেন।’
নির্যাতিত যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার শরীরে ব্যথা, আমি বসতে পারি না। বুধবার হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসেছি। আমি হাঁটতে পারি না, শুয়ে থাকতে পারি না। আমার শরীর খুব খারাপ, ব্যথার জন্য রাতে ঘুমাতেও পারি না। আমি এডিশনাল এসপি জুয়েল স্যারের কাছে সব ঘটনা বলেছি। জানিয়েছি আমি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, কিছু দিন আগে ওসির বিরুদ্ধে আইজিপি স্যারের কাছে একটি অভিযোগ করায় উনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ। তাই আমার ওপর তিনি নির্যাতন চালিয়েছেন। আমি তদন্তপূর্বক এই ঘটনার সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
আরও পড়ুন:
আইজিপির কাছে অভিযোগ করায় যুবলীগ নেতাকে থানায় ধরে এনে বেধড়ক পেটালেন ওসি!