সুন্দরগঞ্জের ইউএনওসহ জেলায় আরও ৯ জনের করোনা শনাক্ত




গাইবান্ধা জেলাগাইবান্ধা জেলায় বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বুধবার (১৭ জুন) বিকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় জেলার আরও ৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন করোনা শনাক্ত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। শনাক্ত অপরজন হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নুতফুন হাসান।

এ নিয়ে জেলার সাত উপজেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮ জনে। এরমধ্যে আক্রান্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে আইসোলেশনে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন। আর বর্তমানে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ১৫৭ জন রোগী।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নতুন ৯ জনসহ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে দুই জন, সাদুল্লাপুরে একজন, পলাশবাড়ীতে দুই জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একজনসহ মোট ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় আক্রান্ত ১৮৮ জনের মধ্যে
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সর্বাধিক ৮০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার ২৮ জন, পলাশবাড়ী উপজেলার ২১ জন, সাদুল্লাপুর উপজেলার ২০ জন, সাঘাটা উপজেলার ১৫ জন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ জন এবং ফুলছড়ি উপজেলার ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে নতুন করে ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এদিকে, করোনার সংক্রমণ এড়াতে আক্রান্ত এলাকাগুলোকে রেড জোনে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। গত ১৪ জুন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৯টি এলাকা ২৯ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া সদর ও পলাশবাড়ী উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা শহর ও হাট-বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা শহর এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ রাস্তঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদ্যসরা।