লঞ্চডুবিতে নিহতদের মুন্সীগঞ্জের বাড়িতে আহাজারি

লঞ্চডুবিতে বোনসহ নিহত হয়েছেন দিদার হোসেন। সাত মাস বিয়ের সময় স্ত্রীর সঙ্গে দিদার ঢাকার শ্যামবাজার এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ এমএল মরনিং বার্ড ডুবে যায়। লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম থেকে সোমবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে এসেছিল। এর বেশির ভাগ যাত্রী ছিলেন মুন্সীগঞ্জের। মুন্সীগঞ্জে নিহতদের স্বজনদের মধ্যে এখন চলছে আহাজারি।

মুন্সীগঞ্জের রিকাবীবাজারের পশ্চিমপাড়ার দিদার হোসেন (৪৫) ছিলেন ঢাকার রহমতগঞ্জের ডালের ব্যবসায়ী। সোমবার সকালে বড় বোনের অসুস্থ স্বামীকে দেখতে বোন রুমা বেগমকে (৪০) নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চে করে রওনা হন। দুর্ঘটনায় বোনসহ তিনি নিহত হন। স্বজনরা জানান, মাত্র সাত মাস আগে বিয়ে করেছিলেন দিদার।  

এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মীরকাদিম এলাকার পশ্চিম পাড়ার সুফিয়া বেগম (৫০)। তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এখন মুন্সীগঞ্জে চলছে তার স্বজনদের আহাজারি ও লাশ গ্রহণের অপেক্ষা।

পশ্চিমপাড়া নিবাসী রুবেল জানান, পশ্চিমপাড়ায় মারা গেছেন চার জন। এর মধ্যে তিন জনের লাশ আনা হয়েছে। সুফিয়া বেগমের লাশ এখনও পৌঁছায়নি। তার সঙ্গে মেয়ে সুমা বেগম ছিলেন। তিনি বেঁচে ফিরেছেন।

রুবেল আরও জানান, পশ্চিমপাড়ার শরিফ দোকানের মালামাল আনতে ঢাকা যাচ্ছিলেন। তিনি স্থানীয় শাহজাহান শরীফের ছেলে। তার লাশও আনা হয়েছে।

এদিকে, মুন্সীগঞ্জের ঠিক কতজন মারা গেছেন তা এখনও জানাতে পারেনি জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘আমরা এখনও জানি না কতজন লোক লঞ্চে ছিল এবং তার মধ্যে মুন্সীগঞ্জের কতজন মারা গেছেন। আমরা তালিকা তৈরির চেষ্টা করছি এবং দুর্ঘটনার স্থল ঢাকার জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।’

তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে দরিদ্রদের ২০ হাজার করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।