হত্যার শিকার দুই বোন হলো– টুকু বড়ুয়া (১৫) এবং নিশি বড়ুয়া (১০)।
মুকুন্দ লাইটারেজ জাহাজে চাকরি করতেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি শুরুর পর তার চাকরি চলে যায়। এরপর দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি পটিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন। পাঁচ বছর আগে মুকুন্দ বড়ুয়ার স্ত্রী মারা যান।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মুকুন্দ খুবই রাগী ছিলেন। রাগের মাথায় দুই মেয়েকে খুন বিষপানে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। মুকুন্দ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে তারা জানান। তবে পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
ওসি বোরহান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খুন হওয়া দুই তরুণীর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, তাদের গলাটিপে মারা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মুকুন্দকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুকুন্দকে সন্দেহের তালিকায় রাখছি। হয়তো অভাবের কারণে কিংবা শ্বশুরবাড়িতে থাকার হতাশা থেকে হয়তো সে ঘটনাটি ঘটাতে পারে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এর সঙ্গে তৃতীয় কোনও পক্ষ জড়িত কিনা আমরা সেটিও খতিয়ে দেখছি।’