করোনা সন্দেহে লাশ ধরেনি আপনজন, সৎকার করলো প্রশাসন

নাটোর সদর উপজেলার ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম দাঁড়িয়ে থেকে বিধান সরকারের লাশের সৎকার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করান।

আপন মামার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল বিধান সরকারের (৪৭)। নিয়মিত মামার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার আগে তাই প্রথমেই মামা বাড়ি যেতেন তিনি। এবারও গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য রাতে অসুস্থ হয়ে মামার ঘরেই মৃত্যু হয় তার। তবে তার মৃত্যু করোনায় কিনা তা নিশ্চিত হতে না পেরে ভয়ে মামা তার সৎকারে অস্বীকৃতি জানান। গ্রামের স্থানীয় যারা সৎকার করেন তারাও দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে যান। পরে প্রশাসন তার সৎকারের ব্যবস্থা করে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১ জুলাই) নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের জংলী এলাকায়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম জানান, নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার দুলাল সরকারের ছেলে বিধান সরকার (৪৭)। তিনি ঢাকায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। আগে থেকেই তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ঢাকা থেকে নওগাঁয় নিজে বাড়িতে ফেরার আগেই তিনি বরাবরের মত জংলী এলাকায় আপন মামা কাত্তিক সরকারের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মঙ্গলবার রাত ৮টায় পৌঁছে মামাবাড়ির সবার সঙ্গে গল্প শেষে রাত বাজে ১১টা। এরপর খাওয়া শেষে বিধান ঘুমাতে যান। কিন্তু, সকালে শোয়ার ঘরে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার করোনা ছিল কিনা এমন সন্দেহ ও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে মামা কাত্তিক সরকার ও তার পরিবার ও স্থানীয় দাহকাজে দায়িত্বরতরা সৎকারের কাজ থেকে পিছিয়ে যান। এমনকি খবর দেওয়া হলেও নওগাঁ থেকেও কেউ আসেনি।

ইউএনও বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজশাহী থেকে স্বেচ্ছাসেবক এনে নিহতের সৎকার করান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মৃতের নমুনা সংগ্রহের পর ওই বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।