দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পথচারীর মৃত্যু: যুবলীগের চার নেতা বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্ত

যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত চার জনচাঁদপুর পৌর এলাকার পুরাণবাজারে মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পথচারী নিহতের একদিন পর যুবলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ১ জুলাই বুধবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হচ্ছেন- চাঁদপুর পৌর যুবলীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির খান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন, দফতর সম্পাদক মো. মাসুদ গাজী ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. রাসেল পাটওয়ারী। সেই সঙ্গে পৌর যুবলীগের ১ নম্বর ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একটি সুসংগঠিত ও সু-শৃঙ্খল সংগঠন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেফ ফজলে শামস পরশ-এর নির্দেশে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির খান, ২ নম্বন ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন, দফতর সম্পাদক মো. মাসুদ গাজী ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. রাসেল পাটওয়ারীকে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে মাদক বিক্রি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরাণবাজার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরের সঙ্গে স্থানীয় হেলালের ঝগড়া হয়। পরে হেলালের পক্ষে ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত পাটওয়ারীর ছোট ভাই রাসেল এবং জহির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জহির গ্রুপের সবুজ খান (২৪) নামের এক যুবককে কুপিয়ে আহত করা হয়। ওই ঘটনার রেশ ধরেই সোমবার সন্ধ্যায় দুটি গ্রুপের দফায় দফায় মারামারি হয়। এরই মধ্যে রাত ৯টার দিকে হোটেলকর্মী শামীম গাজী বাসায় ফেরার পথে পুরাণবাজারের মেয়র রোডের মোড়ে অন্ধকারের মধ্যে  অপরপক্ষের লোক মনে করে একদল যুবক লাঠিসোটা দিয়ে বেদম মারধর করে। ওই হোটেলকর্মীকে গুরুতর অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ৩০ জুন মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে শামীম মারা যান।