অনলাইনে পাঠদান: ২৬টি স্কুল ও ৫টি মাদ্রাসা নিয়ে ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’

শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ এর উদ্বোধনমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়  ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ নামে একটি অনলাইন স্কুলের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলার ২৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাঁচটি মাদ্রাসাকে নিয়ে এই অনলাইন স্কুল পরিচালিত হবে। বিভিন্ন বিষয়ে ১০০ জন শিক্ষক পাঠদান করবেন। একটি ফেসবুক পেজে প্রতিদিন পাঁচটি ক্লাস আপলোড করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

বুধবার (১ জুলাই) উপজেলা কার্যালয়ের হল রুমে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ওই অনলাইন স্কুলর উদ্বোধন করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয়  মাধ্যমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির আহম্মেদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ কুমার বর্ধন, কাকিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নোমান আহম্মেদ সিদ্দিকি, এমসিএস’র চেয়ারম্যান শওকত হাসান খাঁন, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূসরাত ইমা।

ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে গত তিন মাস ধরে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির ছিল। এর কারণে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পরাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সংসদ টিভিতে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে শিক্ষার্থীরা কম সংযুক্ত হচ্ছে। যার কারণে আমরা শ্রীমঙ্গল উপজেলা ২৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাঁচটি মাদ্রাসাকে এক আমব্রেলায় নিয়ে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিষয়ে ১০০ জন দক্ষ শিক্ষকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করেছি। অনলাইন স্কুল শ্রীমঙ্গল নামে একটি ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। বুধবার (১ জুলাই) থেকে প্রতিদিন এই পেজে পাঁচটি ক্লাস আপলোড করা হবে।  এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্থানীয় ক্যাবল টিভি এমসিএম’র মাধ্যমে এগুলো প্রচার করা হবে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এসব ক্লাস করতে পারবে। পরবর্তীতে এই ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নী পরীক্ষা নেওয়ারও চিন্তাভাবনা রয়েছে।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিটিআরআই উচ্চ  বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ  বলেন, ‘২৬টি স্কুলের তিনজন করে শিক্ষকরা ক্লাস নেবেন। এতে শিক্ষার্থী উৎসাহিত হবে। অন্যদিকে শিক্ষকদের মধ্যেও উৎসাহ থাকবে। যেসব শিক্ষার্থীর স্মার্ট ফোন নাই তাদের কথা চিন্তা করে স্থানীয়ভাবে ক্যাবল টিভির মাধ্যমে পাঠদান করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকবে না। এরপরও যেসব  শিক্ষার্থীর বাসায় টিভি নেই তাদের তালিকা করছি। তাদের পরামর্শ দিচ্ছি যাদের বাসায় টিভি আছে সেখানে শ্রেণি অনুযায়ী পাঠদান হচ্ছে। সেগুলো যেন তারা দেখে নেয়।’