পাবনায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে

পানি বাড়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙনপাবনায় পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বেড়ে দেখা দিয়েছে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ ভাঙন। নদী তীরবর্তী মানুষ উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকালে যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, পদ্মা নদীর পানি জেলার ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২.৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, ‘প্রতিবার বর্ষার সময়ে পদ্মা ও যমুনা নদী ভয়াল রূপ ধারণ করে। রাতের আঁধারে আমাদের জায়গা-জমি নদীতে হারিয়ে যায়। আমরা হয়ে পড়ি বাস্তুহারা।  অল্পতেই যদি এই ভাঙন রোধ করা না যায় তাহলে আমরা মহাবিপাকে পড়বো। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো।’

ইতোমধ্যে বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া, নাকালিয়া, সুজানগরের নাজিরগঞ্জ, সাতবাড়িয়া, মালিফা, ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা, সাড়া ও পাকশী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ভাঙনের শিকার হয়েছে। পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। ক্ষতি হয়েছে উঠতি ফসল ও সবজি ক্ষেতের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই নদীভাঙন রোধে কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জরুরিভিত্তিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।