স্ত্রীর চিকিৎসা ও সন্তানের জানাজার জন্য ছুটি না দেওয়ার অভিযোগ

অভিযোগপত্র হস্তান্তর

কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর চিকিৎসা, মৃত সন্তান ও স্বজনদের জানাজায় অংশ নিতে ছুটি না দেওয়াসহ অসদাচরণ, মানসিক নির্যাতন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পাবনার বেড়ায় ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিকার চেয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়রকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

অভিযোগে জানা যায়, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের এমদাদুল হক তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রীর সুচিকিৎসার জন্য তিনি ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি।

এমদাদুল হকের অভিযোগ, ছুটি না পেয়ে তিনি স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারেননি। ফলে তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান মারা যায়। এমনকি তাকে ওই সন্তানের জানাজাতেও যেতে দেওয়া হয়নি।

অভিযোগে আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে একই ধরণের আচরণ করেছেন ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার জুলকার নাইন শাফি ও সহকারী প্রকৌশলী তারেক রহমান। নির্মম ও অমানবিক আচরণ করেছেন আরেকজন কর্মকর্তার সঙ্গে। তার ভাবীর মৃত্যুর সংবাদ এলেও জানাজায় যেতে দেওয়া হয়নি ওই কর্মকর্তাকে।

ফিডার-বি তে কর্মরত রবিউল করিম জানান, উপকেন্দ্রটির প্লান্ট প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস বন্ধ। জরুরি অথবা লকডাউনের নামে তিনি শ্রমিকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন, জুলুম চালান। ডরমিটরিতে শ্রমিকদের আটকে রেখে কাজ দেখিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেড়া ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার জুলকার নাইন শাফি জানান, শ্রমিক-কর্মচারীদের যথা সময়ে কাজে যোগদান ও মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে বলায় তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেছে। অনৈতিক সুযোগ সুবিধা না দেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।

এদিকে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকী ও বেড়া পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।