ওসির অপসারণ দাবিতে ৭ ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

received_692004498027970

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। শনিবার (৪ জুলাই) দুুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, বিগত ৮ মাস আগে জাবেদ মাহমুদ আশুগঞ্জ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই আশুগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অসদাচারণ ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে আসছেন। অসদাচারণের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আবু শ্যামা, তারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইদ্রিস হাসান, চরচারতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকার এবং আমি আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গত ২ জুলাই আমার নিজগ্রাম সোনারমপুরে স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক আশিকুর রহমান রনির বাড়িতে ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ নিয়ে গিয়ে ওসি জাবেদ মাহমুদ দুর্ব্যবহার করেন। এসময় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত হাজির হই। পরে আমি সাংবাদিক রনির সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে আমাকে ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন- তুই আমাকে জিজ্ঞাসা করার কে? তোকে থানায় নিয়ে শায়েস্তা করবো। এক পর্যায়ে ওসি জাবেদ মাহমুদ আমাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয়দের বাধার মুখে গ্রেফতার করতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন, চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকার, দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শ্যামা, আড়াইসিধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া ও শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরীসহ জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনের বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, 'স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক আশেকুর রহমান রনির বিরুদ্ধে ফেসবুকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আজেবাজে ভাষায় লেখালেখি করেছেন বলে অভিযোগে আছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ২ জুলাই মামলা হয়। আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে ওই দিন রাতে আসামি ধরার জন্যে আশুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক এবং মামলার আইও ভক্তচন্দ্র দত্ত আশুগঞ্জ সোনারামপুর গ্রামে রনির বাড়িতে যায়। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন সেখানে লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়ে আসামি রনিকে গ্রেফতারে বাধা দেয়। পরে খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। এর আগেই চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আসামি রনি পালিয়ে যায়। বিষয়টি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে আমি পুলিশ ফোর্স নিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। সাংবাদিক সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।