স্থানীয়রা জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের ইউএনডিপির অর্থায়নে বরাদ্দ থেকে আছিম পাটুলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে দুটি প্রকল্পে সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুই লাখ টাকা বরাদ্দে মোহাম্মদ আলী মেম্বারকে প্রকণ্প কমিটির সভাপতি এবং দেড় লাখ টাকা বরাদ্দে রাশিদা আক্তার সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারকে সভাপতি করা হয়। আছিম পাটুলি ইউনিয়নের গোদারবন্ধে সড়কে কালভার্ট নির্মাণে মোহাম্মদ আলীর প্রকল্পে রডের পরিবর্তে বাঁশের কাবারি ব্যবহার করে গত শুক্রবার (৩ জুন) সরকারি ছুটির দিন কালভার্টের নিচের অংশের ঢালাই শেষ করে। বাঁশ ব্যবহারের কাজের ছবি স্থানীয় কেউ মোবাইল ফোনে তুলে শুক্রবারই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর তা ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ছবি ভাইরাল হওয়ার পর মোহাম্মদ আলী মেম্বার রাতের আঁধারে কালভার্ট থেকে বাঁশের টুকরো সরিয়ে ফেলেন।
একই ইউনিয়নের অপর ইউপি মেম্বার দুলাল মিয়া জানান, সমালোচনার পর বাঁশ সরিয়ে ফেলে রড দিয়ে কালভার্ট পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সাইফুজ্জামান সাইফুল জানান, মোহাম্মদ আলী মেম্বার এই প্রকল্পের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কালভার্ট নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করলে এর দায়-দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। তদন্ত করে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
ঘটনা জানাজানির পর থেকে কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাঁশ ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল সিদ্দিক জানান, তদন্ত শেষে রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগতব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাঁশ ব্যবহারের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম গালিব খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে কালভার্ট নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকার ঊর্ধ্বতন প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে লিখিত তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।
এদিকে, এলাকাবাসী এ ধরনের দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।