বিআরটিসির বাসের চাপায় প্রাণ গেলো চার্জার ভ্যানের ৬ যাত্রীর

দিনাজপুর

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিআরটিসি বাসের চাপায় চার্জার ভ্যানের ৬ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জ উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন বীরগঞ্জ উপজেলার ভাবকী গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৪৫), তার মেয়ে রুপা আক্তার (৮), কাহারোল উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আব্দুর গণির ছেলে আবুল হোসেন (৬০), তার স্ত্রী আসমা খাতুন (৫০) ও তার নাতনি এবং সোহান ইসলামের মেয়ে লামিয়া আক্তার (৭), একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের স্ত্রী নার্গিস আক্তার (৩৫)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ২৫ মাইল বাজারে চলন্ত চার্জার ভ্যানকে পেছন থেকে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বিআরটিসি (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) বাস চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ৪ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ২ জন মারা যান। এছাড়াও চার্জার ভ্যানের অপর দু’জন আরোহীকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি

করা হয়েছে। ঘাতক বিআরটিসি বাসটি চার্জার ভ্যানকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছ গিয়ে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার পর থেকেই ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় জনতা। তারা দাবি তোলেন ওই এলাকায় একটি গতি নিয়ন্ত্রক (স্পিড ব্রেকার) নির্মাণের। পরে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি ও যাত্রীদের উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে ৪টায় পুলিশ স্থানীয়দের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আবারও যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন প্রধান বলেন, যেহেতু মহাসড়কে দুর্ঘটনা তাই মামলার বিষয়টি হাইওয়ে থানার মধ্যে। আর ব্যাটারিচালিত ওই ভ্যানটি মাটির রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিল। এরইমধ্যে বাসটি মাটিতে নামিয়ে গিয়ে ওই ভ্যানকে চাপা দেয়। ফলে ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যাত্রীরা নিহত হন। এখানে ভ্যানচালকের কোনও দোষ ছিল না।

দিনাজপুর হাইওয়ে থানার ওসি জিএম শামসুল নূর বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। নিহতের স্বজনেরা এসে অভিযোগ দিলেই মামলাটি রুজু হবে। তাদেরকে আসতে বলা হয়েছে। আর ওই বাসটিকে জব্দ দেখানো হয়েছে। তবে বাসের চালকসহ অন্যরা পলাতক।