মেলান্দহে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

জামালপুর

জামালপুরের মেলান্দহে মনোয়ারা (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর পরিবার দাবি করেছে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু, গৃহবধূর পিতার দাবি, পাশবিক নির্যাতনে হত্যা করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে মনোয়ারার স্বামী ও তার পরিবার।নিহত মনোয়ারার স্বামীর নাম সোহাগ মিয়া (৩৫)।

উপজলার চরপলিশা গ্রামে রবিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মনোয়ারার পিতা বেলাল উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে জমি লিখে দিয়ে অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে সোহাগ। এ ঘটনা নিয়েই সোহাগ মনোয়ারাকে বেদম মারধর করেছে। নির্যাতনে মারা যাওয়ার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যার খবর প্রচার করেছে। গতকাল রাতেও আমাদের পরিবারের লোকজনদের সোহাগ মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , মনোয়ারা ও সোহাগের মধ্যে দাম্পত্যকলহ চলছিল। এরমধ্যেই সে আরেকটা বিয়ে করে। এ নিয়েই এ কলহের সূত্রপাত।

সোহাগের বড় ভাই সোহেল (৩৮) জানান, রাত দুটোর দিকে সোহাগের ঘরে হট্টগোল শোনে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি বিষপান করেছে মনোয়ারা। মুমূর্ষু অবস্থায় রাতেই মনোয়ারাকে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার করে ডাক্তার। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়ার সময় রাস্তায় মারা যান মনোয়ারা।

মেলান্দহ থানার ওসি (তদন্ত) আ. মজিদ জানান, ওই গৃহবধূর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী সোহাগ পলাতক রয়েছেন।