বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পানিবন্দি মানুষ পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত গরু-ছাগল নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে। বানভাসীদের দুর্ভোগ কমাতে জেলা প্রশাসন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও চাহিদার তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ অপ্রতুল বলে দাবি করছেন জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে ৭৩৯ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, ১৬ হাজার ৬৬ হেক্টর জমির আউশ ধান এবং ২১ হাজার ২৭ হেক্টর জমির পাট তলিয়ে গেছে।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, দুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য কাজ ৮০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে কম। তাই তিনি আশা করছেন যমুনার পানি কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতর যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি বা কমার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, জেলায় বন্যাকবলিত এলাকায় এখন পর্যন্ত ৩১০ মেক্ট্রিক টক জিআর চাল, নগদ ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্য বাবদ দুই লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।