ভ্যানযাত্রী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার দুই আসামির

নাটোরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দুই আসামি গ্রেফতার



নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভ্যানযাত্রী এক কিশোরীকে আটকে রেখে চালকসহ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামিরা ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ সময় বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সুমন উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতার দুজন হচ্ছে দিঘলকান্দি এলাকার স্বপন আলী (২৫) ও শাহাদত হোসেন।
মামলার এজাহার দেখে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান ওসি দিলীপ কুমার দাস। তিনি জানান, ওই কিশোরী (১৩) মায়ের ওপর রাগ করে নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে নানির বাড়ি মানিকপুরের পথে হাঁটতে থাকে। পথে জোনাইল ফুলতলা এলাকায় এক ভ্যানে চার জন যাত্রী দেখে সে ভাড়া ঠিক করে ওঠে। কিছু দূর যাওয়ার পর দুই জন নেমে যায়। এরপর ওই দুই যাত্রী কিশোরীকে প্রথমে ইভটিজিং করে, এরপর উত্ত্যক্ত করতে থাকে। কিশোরী নেমে যেতে চাইলে রাত ৯টার দিকে রয়না এলাকার শরিফ অয়েল মিলের সামনে অন্ধকারে ভ্যান থামিয়ে চালকসহ ওই দুই যাত্রী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনার পর মেয়েটি অপর এক ভ্যানে উঠে পাশের মোড়ে পৌঁছলে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে জেনে পুলিশ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
এ ঘটনায় পরের দিন সকালে মেয়ের মা বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। আসামিদের আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়।
ভ্যানচালককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সুমন।