ভিজিএফ বঞ্চিতদের চাল কিনে দিতে বাধ্য হলেন ইউপি চেয়ারমান

ইউপি সদস্যের কারণে ১২২ জন ভিজিএফের চাল বঞ্চিত হওয়ায় তাদের জন্য বাজার থেকে চাল কিনে আনেন চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ভিজিএফের চাল বঞ্চিতদের বিক্ষোভের মুখে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বাজার থেকে চাল কিনে বিতরণ করতে হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেলে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই অমরখানা ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ শুরু করা হয়। বরাদ্দ পাওয়া ৪৪ মেট্রিক টন চাল ৪ হাজার ৪০৩ জনের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছিল। আগেই তালিকাভুক্তদের হাতে ভিজিএফের স্লিপ বিতরণ করেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। কিন্তু বিতরণের শেষ দিকে ১২২ জন স্লিপ থাকা সত্ত্বেও চাল পাননি। অভিযোগ ওঠে, ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান অতিরিক্ত স্লিপ প্রদান করায় ১২২ জন চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। 

অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু জানান, ইউপি সদস্যদের মোট ৪ হাজার ৪০৩ জনকে স্লিপ দিতে বলেছি। এর মধ্যে ইউনিয়নের ৬১টি মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনকেও অন্তর্ভুক্ত করতে বলি। কিন্তু ইউপি সদস্যরা ৪ হাজার ৪০৩ জনকে স্লিপ দেওয়ার পর অতিরিক্ত ১২২ জন ইমাম ও মোয়াজ্জিনকে  ভিজিএফের স্লিপ বিতরণ করেন। সকালে ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা স্লিপ দিয়ে চাল নিয়ে যান। ফলে বিতরণ শেষে ১২২ জন চাল পাননি। অতিরিক্ত ১২২ জনের তালিকা থাকলেও আগেই চাল ফুরিয়ে যায়। পরে আমি নিজের টাকায় বাজার থেকে চাল কিনে তাদের মাঝে বিতরণ করি।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন জানান, অমরখানায় যে পরিমাণ ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তা স্লিপ প্রাপ্ত প্রত্যেকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। কেউ বাদ যায়নি। তারপরও আমরা মাইকিং করেছি যদি স্লিপ প্রাপ্ত কেউ বাদ যায় চেয়ারম্যানের সাথে যেন যোগাযোগ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ অতিরিক্ত তালিকা করলে সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইজুল হকের বিরুদ্ধে ভুয়া স্লিপ তৈরি করে বিতরণের প্রমাণ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।