তিনি জানান, নাটোরে প্রায় তিন হাজার মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অধিকাংশ মসজিদে ঈদের জামাত একটির প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শহরাঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ, জনবহুল এলাকায় একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সকাল ৭টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পৌনে ৮টা ও সাড়ে ৮টায় আরও দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
নামাজে অংশ নিতে মুসল্লিদের মাস্ক পরে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে জামাতে অংশ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপ-পরিচালক আবুল কাসেম আরও বলেন, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনেই প্রতি মসজিদে যাতে জামাত অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য মসজিদ কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং করছে স্থানীয় প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন। নামাজের খুতবায় ইমামদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখতে বলা হয়েছে। যাতে সঠিক নিয়মে কোরবানি, পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কোনও সমস্যা না হয়। একই সঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য মাটি দিয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও বক্তব্য রাখবেন ইমামগণ।
ভাঁটোদাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আবদুল মান্নান জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
দিঘাপতিয়া বাজারের অধিবাসী সাব্বির উদ্দিন ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ওবায়দুল্লাহ মৃধা কনক জানান, শনিবার সকাল ৮টায় তারা দিঘাপতিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নেবে। নামাজ শেষে কোরবানি দেখবে। তবে সারাদিনই স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদ উদযাপন করতে চান বলে জানান তারা।