ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি

মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতিঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। পরিবারে সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী থেকে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদের সময় দেশের প্রতিটি সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়ে। আর বাড়তি চাপ ও সড়কে দুর্ঘটনার কারণে এক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রতি ঈদেই এমন চিত্র দেখা যায়।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) বিকাল থেকে এ সড়কের মির্জাপুরের গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। মাঝে মধ্যে আবার কোথাও কোথাও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ঘরমুখো মানুষগুলোর গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় লাগছে।

করোনার ভয়াবহতার পরও যাত্রীবাহী বাসগুলোতে গাদাগাদি করে যেতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষদের। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার পরও বাস-ট্রাক-পিকআপের ছাদে করেও বাড়ি যাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

এদিকে, করোনাকালে বিগত যে কোনও সময়ের চেয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মহাসড়কে অধিক যানবাহন চলেছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুর কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা দিয়ে ৪৮ হাজার ৩২১ টি যানবাহন চলাচল করেছে। যদিও এই যানবাহনগুলোর মধ্যে সিংহভাগ মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস রয়েছে। এতে সেতু কর্তৃপক্ষের টোল আদায় হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

অপরদিকে অধিক সংখ্যক এই যানবাহনের চাপ মোকাবিলায় ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা পুলিশ। এ সড়কের গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ছয়শ’র বেশি পুলিশ সদস্য নিরলসভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি র‌্যাব-১২ এর পক্ষ থেকেও একাধিক পৃথক টিম কাজ করছে মহাসড়কে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আয়ুবুর রহমান বলেন, ‘ঈদ-উল আযহার সময় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকগুণ বেশি থাকে। কারণ এই ঈদে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে পশুবাহী ট্রাক যুক্ত হয়। বিভিন্নস্থানে এসব ট্রাক বিকল হয়। ফলে পশু আনলোড করে মেরামত করার সময় যানজটের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এখন গাড়ির অনেক চাপ রয়েছে। ফলে ধীরগতিতে গাড়ি চলছে। গতি কম থাকলেও একবারে বন্ধ থাকছে না গাড়ি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটিও স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।’