মানুষের বাড়ি বাড়ি গোশত পৌঁছে দিলেন মাগুরার তরুণরা




মাগুরায় গোশত বিতরণকরোনা ঝুঁকি মাথায় রেখে ও অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় এবার অনেকে কোরবানির পশু কিনতে পাররেননি। তবে এসব পরিবারের সদস্যদের কাছে কোরবানির গোশত পৌঁছাতে মাগুরায় ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত রাখলো শহরের খান পাড়ার এলাকাবাসী। এলাকার স্বচ্ছল ব্যক্তিরা নিজেদের অর্থায়নে একটি গরু ক্রয় করে সমস্ত গোশত এলাকার শতাধিক দরিদ্র ও নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছেন। আর কোরবানির পশুর গোশত বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন এলাকার তরুণরা।

এ কাজে সম্পৃক্ত খান পাড়ার বাসিন্দা আশরাফ খান, হ্যাপি খান, ইমরান খান, কাজী বিপ্লবসহ অন্যরা জানান, করোনায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে এলাকায় দরিদ্র মানুষের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খান পাড়ার কয়েকজন স্বচ্ছল ব্যক্তির দেওয়া ৭২ হাজার টাকায় একটি গরু কেনা হয়। শনিবার পবিত্র ঈদের দিন যা কোরবানি দিয়ে সম্পূর্ণ গোশত প্যাকেট করে শতাধিক পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।

আয়োজকদের একজন নাহিদ খান জানান, পবিত্র কোরবানির যে মূল উদ্দেশ্য ত্যাগ, সেটিকে মাথায় রেখে এখন থেকে প্রতিবছর কোরবানির ঈদের সময় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি তালিকায় নিম্ম মধ্যবিত্ত এমন পরিবার যারা আর্থিক সমস্যার কারণে পশু কোরবানি দিতে পারেননি তাদেরকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এলাকায় দরিদ্র ও নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। কোরবানির গোশত বণ্টনের সময় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী গোশতের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কাজে ১২ জন স্বেচ্ছাসেবক গত ২০ দিন ধরে নিরলসভাবে শ্রম দিয়েছেন।