বিক্রি হয়নি সেই ‘চিতা বাঘ’

‘চিতা বাঘ’ঈদুল আজহাকে ঘিরে খুলনায় আলোড়ন তোলা সেই বিশাল আকারের গরু ‘চিতা বাঘ’ বিক্রি হয়নি। প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় গরুটির মালিক এটি ছাড়েননি। গরুটিকে তিনি নিজ গোয়ালে রেখেই বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। বিশাল ও তেজি এ গরুটি নিয়ন্ত্রণ করা সমস্যার হবে আশঙ্কায় হাটে নেওয়া হয়নি।

খুলনার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে বিবেচিত হওয়া এ গরুর বয়স সাড়ে ৩ বছর। ৩৫-৩৬ মন ওজনের গরু উচ্চতায়  সোয়া ৬ ফুট ও লম্বায় ৯ ফুট। স্বাভাবিক খাবারেই গরুটি লালিত হয়। মালিক খুলনার তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের কায়নাথ শিকদার গরুটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন।মালিকের সঙ্গে ‘চিতা বাঘ’

কায়নাথ শিকদার বলেন, ‘গরুটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। ক্রেতারা আসলে ১২-১৩ লাখ টাকা দাম বলেছি। নিরাপত্তার কারণে এবং করোনার প্রভাব থাকায় গরুটি হাটে তুলিনি। এবার বিক্রি হলো না আমার চিতা বাঘ।’

নিজস্ব গরুর সঙ্গে ফ্রিজিয়ান ক্রস ব্যবহার করে দুটি গরু উৎপাদন করেন কায়নাথ শিকদার। যার একটি বকনা ও একটি এই ষাঁড়। বকনাটি এখন দুধ দেয়, আর সেটি গাভীন। এ ষাঁড়টির বয়স সাড়ে তিন বছর। এটি এখন পর্যন্ত চার দাঁতের। গরু আট দাঁত পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এটি বিক্রি না হওয়ার ফলে এখন দেখবেন আরও কতটা বাড়তে পারে। গরুটির বর্তমান ওজন ৩৫-৩৬ মন। স্বাভাবিকভাবে এ জাতের গরু ২৮-৩০ মনের হতে পারে। গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিক খাবার খড়, কুড়া, ভুষি, গম ভাঙ্গা, খৈলসহ নিত্য খাবারই খাইয়েছেন। মোটাতাজা করণের বিশেষ কোনও পদ্ধতি তিনি ব্যবহার করেননি।বিক্রি হয়নি গরুটি

খুলনা জেলার অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মণ্ডল বলেন, কায়নাথের গরুটি জিনগত কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বেড়েছে। তবে এটি আরও বড় হতে পারে।

গরুটা মাঠে চড়ালে অন্যান্য গরুর সঙ্গে এর লড়াই হয় এবং কোনও গরুই এর সঙ্গে লড়াইয়ে টেকে না, তাই এর নাম চিতাবাঘ রাখেন বলে জানান কায়নাথ শিকদার।

আরও পড়ুন- কোরবানির বাজারে ‘চিতা বাঘের’ দাম ১০ লাখ