জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়াও জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, জেলায় নতুন করে নগদ ৮ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিক টন চাল, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় দুর্গতদের মাঝে এক হাজার ২৮৪ মেট্রিকটন চাল, ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ জানান, উজানে ও পাহাড়ি এলাকায় আরও একটি বড় বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে একটু পানি কমে আবারও বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জামালপুর পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ায় হোসেন জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণসহ বন্যা কবলিত দুর্গম চরাঞ্চলে নৌটহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা দুষ্কৃতিকারী ঘটাতে না পারে।