নাটোরে কাবিখার ১শ’ বস্তা গম জব্দ!

 

নাটোরে পুলিশের হাতে জব্দ হওয়া ১০০ বস্তা গম। 

নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সরকারের কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির ১শ’ বস্তা গম জব্দ করেছে পুলিশ। এর প্রতি বস্তায় রয়েছে ৫০ কেজি গম। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, গমগুলো খারাপ থাকায় শ্রমিকরা নিতে চায়নি। তাই শ্রমিকদের এর বিনিময়ে টাকা দিয়ে গবাদি পশুর জন্য তিনি গমগুলো কিনেছেন।

পুলিশ বলছে, যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাটোর ডিবি পুলিশের ওসি ও সদর থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাটোর ডিবি পুলিশের ওসি আনারুল ইসলাম জানান, বুধবার (৫ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাতনী ইউনিয়নের মাঝদিঘা গ্রামে অভিযান চালায় গোয়েন্দা ও সদর থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে মাঝদিঘা পূর্বপাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই গম জব্দ করা হয়। ওই বাড়ির মালিক কোরবান। তার বাবার নাম রুহুল আমিন।

কাবিখার গম উদ্ধার

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির মালিক স্থানীয় চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের নাতি জামাই।

সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১,২,৩ সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য শাহনাজের নামে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ওই গম উত্তোলন করা হয়। ওই মেম্বর ও চেয়ারম্যান থানায় এসেছে। চেয়ারম্যানের দাবি, গমগুলো খারাপ হওয়ায় শ্রমিকরা নিতে চায়নি। তাই তাদের টাকা পরিশোধ করে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে তিনি গমগুলো কিনেছেন। উভয়ের কথা ও কাগজপত্র যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন

এ ব্যাপারে ২ নং ওয়ার্ড মেম্বর করিম শাহ জানান, প্রায় দেড় থেকে দুই মাস আগে ওই মেম্বর ও চেয়ারম্যান শ্রমিক দিয়ে মাঝদিঘা মধ্যপাড়া, জব্বার ও মাদারের বাড়ি থেকে পশ্চিমবিল ক্যানেল পর্যন্ত একটি খাল খননের কাজ করেছেন। খালটি প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা। তবে কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে শ্রমিকরা গম নিতে চায়নি কিনা তা তিনি জানেন না।

ছাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল সরকার জানান, ওই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।  ঘটনা তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।