বখাটেকে উদ্ধারের জন্য একজনকে হত্যা

বগুড়া

বগুড়ার গাবতলীতে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক এক কিশোরকে ছিনিয়ে নিতে বাধা দেওয়ায় বুকে কনুইয়ের আঘাতে অমৃত রায় (৩২) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার নেপালতলি ইউনিয়নের পারকাঁকড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

গাবতলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) লাল মিয়া জানান, ঘটনার পর জড়িতরা পালিয়ে গেছে। লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, অমৃত রায় গাবতলী উপজেলার পারকাঁকড়া গ্রামের অনিল চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মুরগির ফার্মে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার বড় ভাই উজ্জ্বল রায়ের স্ত্রী শিউলী রায় (৩০) বাড়ির গোয়াল ঘরে কাজ করছিলেন। এসময় প্রতিবেশী এনামুল হকের ছেলে সুখানপুকুর এমআর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. রিফাত (১৫) গোয়ালে ঢুকে শিউলীকে জাপটে ধরে। ভাবীর চিৎকারে অমৃত রায় ছুটে এসে রিফাতকে হাতেনাতে আটক করেন। এরপর বিচারের জন্য জনপ্রতিনিধিকে খবর দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। এদিকে রিফাতকে আটকে রাখার খবর পেয়ে তার বাবা এনামুল হক, দাদা জসিম উদ্দিন ও অন্যরা ওই বাড়িতে আসে। তারা এসেই রিফাতকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন অমৃত বাধা দিলে এনামুল কনুই দিয়ে তার বুকে আঘাত করেন। এতে অমৃত মাটিতে পড়ে যান। এই সুযোগে রিফাতকে নিয়ে এনামুল, তার জসিম উদ্দিন ও অন্যরা পালিয়ে যায়। অমৃতকে উদ্ধার করে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইন্সপেক্টর (তদন্ত) লাল মিয়া আরও জানান, পালিয়ে যাওয়া এনামুল ও অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নিহত অমৃত রায়ের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।