ধুনটে অবৈধভাবে বালু তোলায় ৯টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস, ২৩টি জব্দ

117410461_302400384428654_753586286285628349_n

বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর শহরাবাড়ি ঘাট থেকে বালু উত্তোলনের ১৮টি নৌকা ও পাঁচটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া গত তিন দিনে বাঙালি ও ইছামতি নদীতে থেকে বালু উত্তোলনের ৯টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত ও সহকারী কশিমনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল রনির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথকভাবে অভিযান চালান।

অভিযোগে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার যমুনা, বাঙালি ও ইছামতি নদীতে ভাসমান অবস্থায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গভীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছে। এতে নদীর তীর ও আশপাশের ফসলি জমিতে ভাঙন দেখা দেয়। এনিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে প্রশাসন তৎপর হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বাঙালি নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নিমগাছী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজাউদৌলা রিপনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া জয়শিং এলাকায় নিমগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হক, বেড়েরবাড়ী এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য নাবাব আলী, বথুয়াবাড়ী-বিলকাজুলী এলাকায় হাসানুল হক পুটু ও ধামাচামা এলাকায় সাবানুর রহমানের ৯টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস এবং ভান্ডারবাড়ী যমুনা নদীর শহড়াবাড়ী ঘাট এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের ১৮টি নৌকা ও ৫টি লঞ্চ ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, এই উপজেলায় কোনও অনুমোদিত বালু মহাল নেই। এরপরও অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছে। তাই পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক জনের জরিমানা এবং বালু উত্তোলনের ৯টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও ২৩টি নৌকা ও লঞ্চচালিত ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে।