ইউএনও’র হস্তক্ষেপের পর দাফন হলো করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির

ইউএনওর হস্তক্ষেপে এলাকার বাইরে থেকে দাফনকারীদের এনে দাফনের ব্যবস্থা হয় করোনায় আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মরদেহের।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর আদর্শ কলোনিতে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মরদেহ দাফন নিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ আট ঘণ্টা মরদেহ দাফনের জন্য লোক না পাওয়া যাওয়ায় পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

মৃত ওই ব্যক্তির নাম খয়রুল ইসলাম (৭২)। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকাল ৮ টায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরে ওই বৃদ্ধের ব্যক্তির লাশ দাফনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে এলাকায় নিয়ে আসলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে এলাকার মানুষের মাঝে।

জানা গেছে, ওই এলাকায় করোনায় এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা হওয়ায় এলাকার মানুষ দাফনের জন্য সহযোগিতা করতে ভয় পাচ্ছিল। পরে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের হস্তক্ষেপে আসরের নামাজের পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃতব্যক্তির দাফন সম্পন্ন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার ভলান্টিয়ার টিম।

মৃত খয়রুল ইসলাম ছিলেন সত্যপীর ব্রিজ জামে মসজিদের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত পৌর কর্মচারী। গত সোমবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও ভয়ের কিছু নেই। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতব্যক্তির যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন ও সৎকার করা হয় সেভাবেই এই মৃতব্যক্তির দাফন করা হয়েছে।  যারা মৃতব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে তাদের তালিকা করে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে। তিনি জানান, স্বয়ং জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম বিষয়টি মনিটরিং করছেন।

উপজেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান জানান, জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৫ জন। তারমধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২৮৭ জন।