বরগুনায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাধনা রানী (৩৫) নামের ওই নারীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে।
পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ৮১ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৬০ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদরের ৬৬ জন, পাথরঘাটায় তিন জন, বামনা ও তালতলীতে একজন করে এবং আমতলী ও বেতাগী উপজেলায় পাঁচ জন করে।
মৃত সাধনা রানী পাথরঘাটা উপজেলার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২৪৩ জন। এর মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৯৭ জন, আমতলী উপজেলায় সাত জন, তালতলী উপজেলায় নয় জন, পাথরঘাটায় পাঁচ জন, বামনায় ১৫ জন এবং বেতাগী উপজেলায় ১০ জন করে চিকিৎসাধীন। মোট আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় দুই হাজার ৪০৪, তালতলীতে ২৪, বামনায় ৬৫, বেতাগীতে ২৬, আমতলীতে ১৯ এবং পাথরঘাটায় ১০৩ জন। মারা যাওয়া ২৩ জনের মধ্যে ২২ জনের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায় এবং একজনের বাড়ি পাথরঘাটায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাজকিয়া সিদ্দিকীহ বলেন, ‘দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। বরগুনায় নেই আইসিইউর ব্যবস্থা, রোগীর অবস্থা একটু খারাপ দেখলেই রেফার করতে হয় বরিশালে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এখন জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে কোনোভাবেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘দিন যত যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী ততই বাড়ছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আমাদের চিকিৎসাসেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।’