যাত্রী থাকলে স্বাভাবিক, না থাকলেই স্বাস্থ্যবিধি

117320155_756354655137626_4790249629562334165_n

মাগুরার গণপরিবহনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় শুধু যাত্রীর অভাব থাকলেই। নয়তো দাঁড়িয়েও ভ্রমণ করতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীদের অভিযোগ, শহর পার হলেই আর কোনও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করা হয় না। অথচ ভাড়া নেওয়া হয় দ্বিগুণ।

মাগুরা-যশোর সড়কের নিয়মিত যাত্রী হামিদা আখতার বলেন, 'শহরের বাসস্ট্যান্ডে বাস কর্মচারীরা একটু সতর্ক থাকে। কিন্তু শহর পার হওয়ার পরে ইচ্ছামতো যাত্রী উঠানো হয়।'

মাগুরা থেকে ঝিনাইদহর নিয়মিত যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, 'লোক না হলে তারা দুই সিটে একজন করে বসায়। এরপর লোক উঠলেই তখন বলে আরেকজনের পাশে বসতে। আমি কারও পাশে বসবো না, তাই দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি।'

যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'যে ভাড়া ছিল ৫০ টাকা, এখন তা ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দাঁড়িয়ে গেলেও কম হবে না। গাড়িতে কেউ মাস্ক পড়ে না।'

মাগুরা-যশোর রুটের একটি বাসের হেল্পার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'আমরা সবসময় যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলি। পথের মধ্যে কেউ বিপদে পড়লে তাকে তুলে নিই মাঝেমধ্যে। কিন্তু তাকে কারও পাশে না বসিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে বলি।'

মাগুরার একজন বাস মালিক মাজেদুল হক ঝণ্টু বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আমরা বাস মালিকেরা কড়াকড়িভাবে নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও কর্মচারীরা পথের মধ্যে আমাদের অজান্তে অতিরিক্ত লোক তুলছে এমন অভিযোগ আছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও কঠোর হবো।'

মাগুরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, 'গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি এবং নিয়মিত তা তদারকি করছি।'