সংগঠনটির সদস্য সচিব ডা. তাজোয়ার রহমান খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ডা. ওসমান ফরহাদ ও সানি হাসনাইন প্রান্তিকের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে এ ঘটনায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লে কার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নিতে দেখা যায়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকালে চকবাজার থানাধীন চট্টেশ্বরী রোডের চমেক ছাত্রাবাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে মেডিক্যাল ছাত্রদের হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ ছাত্রাবাসে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষ চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করে চকবাজার থানা থেকে আসার পথে রাত ১১টার দিকে চকবাজার জয়নগর এক নম্বর গলির মুখে ২৫-৩০ জনের মত চমেকের ছাত্র ও কিছু বহিরাগত মিলে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ওসমান ফরহাদ ও চমেক ছাত্র সংসদের (চমেকসু) সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিককের ওপর হামলা চালায়। এতে দু্ই জন গুরুতর আহন হন। পরে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডা. রাফি ২১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। কর্মসূচি প্রত্যাহার করে তাদেরকে কাজে ফেরত পাঠাতে প্রশাসন চেষ্টা করছে।