চাল জব্দের পর গুদাম সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী ভবন না থাকায় চালগুলো উত্তোলন করে বিতরণের জন্য এই গুদামে রাখা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোয়ালের চর ইউপির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ জিআরের ৩০ কেজি ওজনের ৬০০ বস্তা ও ভিজিডির ৩০ কেজি ওজনের ৩২২ বস্তা চাল উত্তোলন করে ইসলামপুর পৌর শহরের দড়িয়াবাদ এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন মীম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি গুদামে রাখেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যে সোমবার গভীর রাতে ওই গুদামে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে জিআরের ১৮ হাজার কেজি ও ভিজিডির ৯ হাজার ৬৬০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। পরে চালসহ গুদামটি সিলগালা করা হয়।
চালগুলো কালোবাজারির উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য ওই গুদামে রাখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘এ ঘটনায় মঙ্গলবার পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ঘোষণা করা হবে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি প্রমাণিত হলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের স্থায়ী ভবন না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে মীম এন্টার প্রাইজ নামে একটি গুদাম ভাড়া নিয়ে ভিজিএফ, ভিজিডি ও জিআর চাল এখান থেকে বিতরণ করা হয়। তাই এবারও জিআর ও ভিজিডির চাল উত্তোলন করে বিতরণের জন্য ওই গুদামে রাখা হয়েছে।’
গুদাম মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, গোয়ালের চর ইউপি চেয়ারম্যান চার বছর ধরে তার গুদাম ভাড়া নিয়ে সরকারি চালসহ অন্য মালামাল উত্তোলন করে রাখেন। পরে সেখান থেকে নিয়ে বিতরণ করেন। এ চালের সঙ্গে তার কোনও সম্পৃক্ততা নেই।