শ্রীপুরে দুই পোশাক শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৪ ধর্ষক গ্রেফতার

গাজীপুরে দুই পোশাককর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্তরা।

গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই পোশাক শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের নামে রবিবার শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিধাই গ্রামের ভোমরা ভিটার খোকনের পরিত্যক্ত খামারে এ ঘটনা ঘটে।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) সারোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  

দুই পোশাক শ্রমিক ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের আকবর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শ্রমিক। 

অভিযুক্তরা হল শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে শাহিনুল (৩০), আইয়ুব আলী ঢালীর ছেলে কালাম (২৬), বিল্লাল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০), আলী হোসেনের ছেলে বাবু (১৯) এবং নূরুল ইসলামের ছেলে মোকসেদুল (৩০ )। 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অভিযোগকারী ওই পোশাককর্মী তার এক বান্ধবীর অনুরোধে কাওরাইদের বিধাই এলাকার ভোমরা ভিটার খোকনের পরিত্যক্ত খামারে ঘুরতে যায়। এ সময় অভিযুক্তরা তাদের দুই বান্ধবীকে আলাদা করে পৃথক দুটি পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযোগকারী পোশাককর্মীকে একটি মাটির ঘরে নিয়ে আটকে ফেলে শাহীনুল। এরপর ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে মধ্য রাত আড়াইটা পর্যন্ত অভিযুক্ত শাহিনুলের নেতৃত্বে তার আরও ৪ সহযোগী পোশাক শ্রমিককে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে।

এদিকে, অদূরবর্তী একটি কক্ষে অভিযোগকারীর বান্ধবীকে অপর দুই যুবক ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে অভিযোগকারীকে মাটির ঘরের বাইরে জঙ্গলের পাশে একটি কাঁচা রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে সেখান থেকে স্থানীয় লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করে অভিযোগকারী ওই পোশাককর্মী তার কারখানার আবাসিক কক্ষে চলে যায়। কারখানার আবাসিক কক্ষে গিয়ে দেখে তার বান্ধবী কক্ষে উপস্থিত। পরে সে তার কাছে জানতে চায় কেন তাকে রেখে সে (বান্ধবী) চলে আসছে। এসময় তার বান্ধবী জানায়, অভিযুক্ত যুবকদের মধ্যে দুইজন তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে রাত সাড়ে দশটার দিকে কারখানা এলাকায় ফেলে চলে যায়। এ ঘটনা অভিযোগকারী ওই নারী শ্রমিক তার পরিবারের সদস্যদের জানালে তাদের পরামর্শে রবিবার শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা রুজু করে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মোকসেদুল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।