খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ড ইতোপূর্বে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর চরজহিরউদ্দিনের সিডারচর নিয়ে ওয়ার্ডগুলো পুনর্বিন্যাস করা হয়। পরে সেখানে নদীভাঙা পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে আবারও ভাঙনের কবলে পড়ে সিডারচর অংশের জনবসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে মেঘনার মলংচড়া অংশে বড় আকারের জেগে ওঠা একটি চরে এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের কাজ চলছে।
এই চরটিকেই স্থানীয় একটি মহল চর রাইয়ান চৌধুরী বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে চরে এ বিষয়ে একটি ব্যানারও লাগানো হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সহযোগিতায় বড় মলংচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুন্নবী শিকদার বাবুল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বড় মলংচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুন্নবী শিকদার বাবুল জানান, মেঘনার মলংচড়া অংশে বড় আকারে একটি নতুন চর জেগে উঠেছে। ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চর রাইয়ান চৌধুরী নামকরণের মাধ্যমে ভূমিহীন অসহায় পরিবারগুলোকে এখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা ভূমি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, নামকরণের বিষয়ে এমপি বা এমপির ছেলে কিছুই জানেন না। রাজনৈতিক উচ্ছিষ্টভোগী চাটুকাররা এভাবে চাটুকারিতা করে এমপির থেকে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার ধান্দা করছে মাত্র।
তজুমদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান জানান ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, মেঘনায় জেগে ওঠা চরের ডিয়ারা জরিপের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চরের ম্যাপ হওয়ার পর জেলা কালেক্টরেট চরের নামকরণ করবেন। অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে একটি মহল এমপির ছেলের নামে নামকরণ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বা প্রচারণা চালিয়ে চাটুকারিতা করছে।