পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইসহাক মালিথা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। ৬ বছর পর রবিবার সন্ধ্যায় সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু দলীয় কার্যালয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করতে যান। এতে বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুল দেওয়া নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে মিন্টু ও ইসহাকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে খবর পেয়ে উভয় পক্ষের অনুসারী ও কর্মীরা জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। প্রাণ ভয়ে সাধারণ মানুষ দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের জামাত-শিবিরের অনুসারী উল্লেখ করে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ‘জামাত-শিবিরের অনুসারীরা আসন্ন নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করতে একের পর এক অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনার পেছনে তারাই দায়ী।’
তবে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইসহাক করেন, দীর্ঘদিন ধরেই আবুল কালাম আজাদ মিন্টু নোংরামি করে আসছেন। এটা নতুন কিছু নয়। মাঝে মধ্যেই দলীয় কার্যালয়ের একক দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন তিনি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্থা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ নেতৃবৃন্দদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে দফায় দফায় দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সমঝোতার পরও দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।