জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে।
নলডাঙ্গা বাজারের আড়ত-মালিক রানা জানান, মঙ্গলবারের আগে নলডাঙ্গাসহ জেলার বিভিন্ন হাটে পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল ১৮০০-২০০০ টাকা মণ। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ জানার পর মঙ্গলবার পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০০০-৩২০০ টাকা মণ। আর বুধবার সকাল থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২০০-৩৫০০ টাকা মণ।
একই উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া এলাকার পেঁয়াজ চাষি জরিপ জানান, মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় চার মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। দাম পেয়েছেন ৩২০০ টাকা মণ। বুধবার সকাল থেকেই ও এলাকায় ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারের ব্যবসায়ী রক্তিম জানান, বুধবার সকাল থেকেই ১০০ টাকা কেজি খুচরা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
তিনি ক্ষোভ নিয়ে বলেন, কিছুদিন আগেও ভারত পেঁয়াজ দিতে না চাওয়ায় তিনি ২৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলেন। এবারও এ ধরনের পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছি না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক শাহ রিয়াজ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাজার মনিটরিং কমিটি সভায় মিলিত হয়ে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং ও প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, চলতি মৌসুমে নাটোরে ২৮ হাজার মে.টন চাহিদার বিপরীতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭২ হাজার মে.টন। বর্তমানে নাটোরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরেও এমন দাম বৃদ্ধি দুঃখজনক। বাজার নিয়ন্ত্রণে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।