নাটোরে পেঁয়াজের দাম ৩ দিনে দ্বিগুণ!

ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা বাজারে নিয়ে এসেছেন পেঁয়াজভারতের রফতানি বন্ধের ঘোষণার পরেই পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা খ্যাত নাটোরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। মাত্র তিন দিনেই দাম হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসন নানা পদক্ষেপ নিলেও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের থামানো যাচ্ছে না। এদিকে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজ পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ মজুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে।

নলডাঙ্গা বাজারের আড়ত-মালিক রানা জানান, মঙ্গলবারের আগে নলডাঙ্গাসহ জেলার বিভিন্ন হাটে পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল ১৮০০-২০০০ টাকা মণ। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ জানার পর মঙ্গলবার পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০০০-৩২০০ টাকা মণ। আর বুধবার সকাল থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২০০-৩৫০০ টাকা মণ।

একই উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া এলাকার পেঁয়াজ চাষি জরিপ জানান, মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় চার মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। দাম পেয়েছেন ৩২০০ টাকা মণ। বুধবার সকাল থেকেই ও এলাকায় ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারের ব্যবসায়ী রক্তিম জানান, বুধবার সকাল থেকেই ১০০ টাকা কেজি খুচরা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিংসদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকার সেলিম ইমতিয়াজ জানান, পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়ির জন্য তিনি ৮০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন।

তিনি ক্ষোভ নিয়ে বলেন, কিছুদিন আগেও ভারত পেঁয়াজ দিতে না চাওয়ায় তিনি ২৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলেন। এবারও এ ধরনের পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছি না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক শাহ রিয়াজ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাজার মনিটরিং কমিটি সভায় মিলিত হয়ে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং ও প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, চলতি মৌসুমে নাটোরে ২৮ হাজার মে.টন চাহিদার বিপরীতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭২ হাজার মে.টন। বর্তমানে নাটোরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরেও এমন দাম বৃদ্ধি দুঃখজনক। বাজার নিয়ন্ত্রণে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।