ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দেওয়ার দুই দিন পরও পেঁয়াজ আসেনি

পেঁযাজবাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত। যদিও আগের এলসির আওতায় দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পেঁয়াজ পাঠানোর আশ্বাস পেয়েছিলেন আমদানিকারকরা। কিন্তু দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি না দেওয়ায় কোনও পেঁয়াজ রফতানি করেননি দেশটির ব্যবসায়ীরা।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম হয়ে থাকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনও পেঁয়াজবাহী ট্রাকে ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেনি।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশীদ হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, এলসি করা ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে ভারত। কিন্তু আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানি নীতি অনুযায়ী, এলসি খুললে ও গ্রহণ করলেই পণ্য দিতে হবে।

হারুনুর রশীদ হারুনের কথায়, ‘লোডিং পয়েন্ট থেকে বন্দরে আসতে ছয়-সাতদিন লাগে। গত চারদিন ধরে রফতানি না করায় পেঁয়াজের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করেছে। অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। আমরা আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।’

আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতির দাবি, ‘গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ১৩ সেপ্টেম্বরের দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পেঁয়াজ বুধবার রফতানি করা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সময় থাকলেও তারা কোনও পেঁয়াজ রফতানি করেননি।’

জানা গেছে, বন্দরের আমদানিকারকরা এ নিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেয়নি ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) সেই অনুমতিপত্র পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুক্র ও শনিবার ১০-১৫ ট্রাক পেঁয়াজ বন্দরে ঢুকতে পারে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন হিলির আমদানিকারকদের।

অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে রেখেছে ভারত।